Login

জনসেবাউন্নয়ন সংস্থা

Slide 1 Slide 2 Slide 3
সংস্থার   পরিচিতি

জনসেবা উন্নয়ন সংস্থা একটি নিবন্ধিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (NGO) যা নারী ও পুরুষ উভয়ের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সাধারণ এনজিওগুলোর মতোই কাজ করলেও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পদ্ধতি বাস্তবমুখী ও আত্মনির্ভরশীলতা ভিত্তিক। আমাদের মূল লক্ষ্য একটি বেকারত্বমুক্ত, আত্মনির্ভরশীল এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা বিশ্বাস করি— প্রতিটি পরিবারকে যদি অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী ও সচেতন করা যায়, তাহলে একটি উন্নত ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

আমাদের লক্ষ্য

আমাদের লক্ষ্য একটি সুন্দর, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা— যেখানে প্রতিটি পরিবার হবে কর্মক্ষম, সচেতন ও আত্মনির্ভরশীল। আমরা এমন একটি সমাজ চাই যেখানে:

  • নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ – সকলের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত থাকবে।
  • প্রতিটি পরিবার নিজ উদ্যোগে আয় করতে পারবে এবং হবে একটি উৎপাদনশীল ইউনিট।
  • সমাজে নারী হবে জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি।
  • প্রত্যেকেই পাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান ও সম্মানজনক জীবনযাত্রার অধিকার।
  • দরিদ্রতা থাকবে না সমাজের পরিচয় – বরং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে সমতা ও সম্মাননির্ভর উন্নত বাংলাদেশ।
  • সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও উপকরণের মাধ্যমে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা হবে, যেন তারা পিছিয়ে না পড়ে বরং সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
আমাদের উদ্দেশ্যে

আমাদের লক্ষ্য পূরণে “জনসেবা উন্নয়ন সংস্থা” যে বাস্তবধর্মী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা পরিবারকেন্দ্রিক, স্বনির্ভর এবং সম্পদভিত্তিক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দেয়। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:

  • পরিবারভিত্তিক সঞ্চয় সংস্কৃতি গড়ে তোলা – যাতে স্বল্প আয়েও ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
  • বিনা সুদে ক্ষুদ্র ঋণ ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান – যাতে পরিবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
  • নারী ও তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।
  • সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা সহায়তা এবং উপবৃত্তির ব্যবস্থা।
  • সুপার শপ গঠন করে সদস্যদের শেয়ারধারী করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক মালিকানা প্রদান।
  • পরিবারভিত্তিক খামার গঠন – গরু, ছাগল পালন যাতে আয় বাড়ে এবং সদস্যরা লাভবান হয়।

আমাদের কার্যক্রম

জনসেবা উন্নয় সংস্থা একটি নিবন্ধিত এনজিও যা পরিবারের উন্নয়নের জন্য কাজ করে।

বর্তমানে আমরা কাজ করছি বিশেষ একটি কর্মসূচী নিয়ে যার মাধ্যমে সদস্যরা তাদের পরিবারের আয় বাড়াতে পারবে, সঞ্চয় করতে পারবে এবং একসাথে সুন্দর একটি ভবিষ্যত গড়তে পারবে। মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় তিনটি চাহিদা হচ্ছে খাদ্য, চিকিৎসা এবং বাসস্থান। কিন্তু এই তিনটি চাহিদা পূরণ করতে গেলে প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত আয় এবং সঠিক পরিকল্পনা। তাই আমরা এমন একটি কর্মসূচীর নিয়ে এসেছি যা সদস্যদের এই তিনটি চাহিদা সহজেই পূরণ করতে সাহায্য করবে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রত্যেকটি এলাকায় একটি উন্নয়নমূলক দল গঠন করছি পাশাপাশি দলীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে সদস্যরা লাভববান হতে পারবে এবং দলের সাথে যুক্ত হয়ে পাবেন নানাবিধ সুযোগ সুবিধা ও বিশেষ সহায়তা।

সুবিধাগুলো   হলোঃ
💰

দলের সদস্যদের মাঝে বিনা সুদে লোন।

সদস্যদের ব্যবসা, জরুরি প্রয়োজনের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে বিনা সুদে ঋণ প্রদান করা হয়, যাতে তারা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে কোনো সুদের বোঝা ছাড়াই।

🏬

সঞ্চয়ের ভিত্তিতে সুপার শপের মালিকানা

সদস্যদের নিয়মিত সঞ্চয়ের মাধ্যমে সুপার শপে শেয়ার প্রদান করা হয়, যাতে তারা ধীরে ধীরে লাভের অংশীদার হতে পারেন।

🐐

সেলাই মেশিন ও খামার স্থাপনের সুযোগ

অর্জিত দক্ষতার ভিত্তিতে নারী ও পরিবারগুলোকে সেলাই মেশিন এবং পারিবারিক খামার স্থাপনের জন্য সহায়তা দেওয়া হয়।

🎓

শিশুদের শিক্ষায় উপবৃত্তি সহায়তা

অসচ্ছল পরিবারের শিশুদের নিয়মিত স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে উপবৃত্তি ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়।

🩺

বিনামূল্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সহায়তা

দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

🎓

বিভিন্ন ফ্রি প্রশিক্ষণ

নারী ও যুব সমাজকে দক্ষ করে তুলতে সেলাই, হস্তশিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, আইটি ও উদ্যোক্তা উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ – ‘খামার প্রকল্প’

খামার প্রকল্পের ছবি

আমাদের খামার প্রকল্প একটি সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল উদ্যোগ, যা দলের নিবন্ধিত সদস্যদের জন্য স্থায়ী আয়ের নতুন দোরগোড়ায় পরিণত হবে। এখানে সদস্যদের নামে খামার প্রতিষ্ঠা করে ছাগল ও গরু পালন করা হবে, যেটি শুধু আর্থিক আয় নয়, পাশাপাশি সদস্যদের সম্পদ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখবে।

প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
  • সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে প্রতিষ্ঠান

    খামারের যাবতীয় পরিচালনা, খাদ্য, চিকিৎসা, পরিচর্যা ও অন্যান্য খরচ আমাদের প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করবে। সদস্যদের কোনরকম অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হবে না।

  • আয়ের স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা

    পশু বিক্রয়ের পর সকল খরচ বাদ দিয়ে বাকি অর্থ সম্পূর্ণরূপে সদস্যের হাতে প্রদান করা হবে। অর্থাৎ, সদস্যদের আয় নিশ্চিত ও স্বচ্ছ হবে।

  • দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও অংশীদারিত্ব

    প্রতি দুইটি বাচ্চা পশুর মধ্যে একটি সদস্যকে দেওয়া হবে এবং অপরটি আমাদের প্রতিষ্ঠান রাখবে। এতে সদস্য ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের মধ্যকার অংশীদারিত্ব বজায় থাকবে এবং স্থায়ী লাভের পথ তৈরি হবে।

  • আয়ের স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা

    পশু বিক্রয়ের পর সকল খরচ বাদ দিয়ে বাকি অর্থ সম্পূর্ণরূপে সদস্যের হাতে প্রদান করা হবে। অর্থাৎ, সদস্যদের আয় নিশ্চিত ও স্বচ্ছ হবে।

সদস্যদের জন্য কেন এই প্রকল্প:
  • নতুন আয় উৎস

    পশুপালনের মাধ্যমে নিয়মিত ও স্থায়ী আয় নিশ্চিত হবে, যা আপনাকে আর্থিক স্বচ্ছলতায় সাহায্য করবে।

  • কম ঝুঁকি, অধিক লাভ

    প্রতিষ্ঠান সঠিক পরিচর্যা ও খরচ বহন করার কারণে সদস্যদের ঝুঁকি কম থাকবে এবং লাভের সম্ভাবনা বাড়বে।

  • সম্পদ বৃদ্ধির সুযোগ

    এই প্রকল্পের মাধ্যমে আপনার সম্পদের পরিধি বৃদ্ধি পাবে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

  • সহযোগিতামূলক সম্প্রদায় গঠন

    দলের সদস্য হিসেবে আপনি এই উদ্যোগের অংশীদার হবেন, যেখানে সমন্বিত প্রচেষ্টা ও পারস্পরিক সহায়তায় সবাই উপকৃত হবেন।

প্রধান কার্যলয়

প্লট 01, রোড 45, গুলশান-২, ঢাকা-1212, বাংলাদেশশ